সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুনশান বাঁকুড়ার ব‍্যস্ততম এলাকা : টহল দিচ্ছে পুলিশ

25th July 2020 1:20 pm বাঁকুড়া
সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুনশান বাঁকুড়ার ব‍্যস্ততম এলাকা : টহল দিচ্ছে পুলিশ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের রাজ্যজুড়ে চলা ১৬ ঘণ্টার লক্ ডাউনে সর্বাত্মক প্রভাব লক্ষ্য করা গেলো বাঁকুড়া জেলায়। বন্ধ দোকানপাট,  বাজার, বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। বাঁকুড়ার প্রাণকেন্দ্র মাচানতলা এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে পাঁচর্মুখী রাস্তা। চলছে পুলিশি টহলদারি । জেলার প্রাণকেন্দ্রে সাথে সাথে পাত্রসায়ের থানার চিত্রটা একইরকম রাস্তায় কাউকে অহেতুক বেরোতে দেখলেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। যুক্তিসংগত কৈফিয়ৎ পেলে, তবেই মিলছে যাওয়ার অনুমতি। প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।গত ৪৮ ঘণ্টায় বাঁকুড়া জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাপ্ সেনচুরি অতিক্রম করে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ তে।জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪২ । পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মোট আক্রান্তের সংখ্যাটাও।

গত কয়েকদিনের করোণা আক্রান্তের সংখ্যায় রাশ টানতে পাঁচ দিনের লক ডাউন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাঁকুড়ার তিন পুরসভা এলাকায়। আগামীকাল ২৬ জুলাই বিকেল ৫ টা থেকে লাগু হচ্ছে সেই নিয়মবিধি। গতকাল সন্ধ্যায় জেলা শাসকের দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে আগামী ২৬ জুলাই বিকাল পাঁচটা থেকে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পুরসভা এলাকায় নতুন করে লক ডাউন জারি হবে। যা বলবৎ থাকবে আগামী ৩০ জুলাই বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। তবে এই লক ডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্য পরিসেবা, এম্বুলেন্স, ওষুধের দোকান, জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ পরিসেবা, দমকল সহ অন্যান্য আপৎকালীন পরিসেবা চালু থাকবে। এছাড়াও প্রতিদিনই নির্দিষ্ট একটি সময়ে সকাল সাতটা থেকে বেলা এগারোটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে সবজী, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও হাট মশলার দোকান এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায় ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।